মোনালি রায়
সময়ের রঙ শিন্ডলার্স লিস্ট'
[ যে, সেকেন্ড'কে ভাগ করে ফেলে অনন্ত'য়; যে, বন্ধ্যা রাখে নদি, সে সব ডাইমেনশনেই পাক্কা শয়তান ]
০)
থিয়োরি আর কনসেপ্টস' ভর্তি পিওর ম্যাথস, ফিজিক্স বা কেমিষ্ট্রি.... যেসবের বছর বছর কোনভাবেই রদবদল হয় না। যাই আসুক, ফেরে না কিছুই । যদ্দিন বোধ, ততদিন যেমন একইরকম সাদা কালো কোনার্ক'এর গাম্বাট টিভি বা কেলভিনেটর ফ্রিজ। বা এইচ এম ভি' রেকর্ড, মারফি রেডিও'।
এই জঞ্জালময় ভূবনটিকে কনস্ট্যান্ট ধরে নিলে, ' তুমি' একমাত্র ভ্যারিয়েবল এক্স'।
- ক্ষণে ক্ষণে পালটে দিতে পারো সব
১)
সে হাসিতে যেই ভুলেছিলে
ওই চোখে চেয়েছিলে যেচে
অন্তঃপুর জ্বলে পুড়ে গেছে
ভেসে যেতে হল যমুনানীলে
....স্লেজে তেমন মহৎ গতি আসে নি যখন জেব্রা বদলে জিরাফ বদলে চিতা'দের জুড়ে জুড়ে .... এইসব গ্লাস আর কাটস যখন বেঁধে রাখেনি সুর। ভীত করে তোলেনি জল.....দিগন্তের ওইপারে দাঁড়ানো গৃহপালিত প্রাণীদের যাবতীয় হাহাকার ও অবসাদ মুবারক তোমায়.... আমি যাব, চরম সুসময়ে... যখন কাঁটারা দখলে রেখেছে চাঁদ আর ভেঙেছে ঘড়ি।
সময় থেমে। বার্নার জ্বলছে।।। বাজিমাৎ। রোজ। পলিশড ক্রিমসন ঠোঁটে, বেমানান শোক।
অভিযোগ, প্রতিবেশীর সিঁড়ির মতো সত্ত্বায় ঢুকে আসে এবং হাহাকার... এ কিউবিকলের বাইরে
২)
যদিও স্থির, তবু মাদকতা
ওই ঠোঁটে তুমি কি ডুবেছ
যতদিন ততরাত মরেছ
মেখেছ শিশির, পদ্মপাতা
....দেওয়ালটা আলো জ্বেলে রাখে। সবুজ। দেখে যায় তোমার ব্যস্ত ব্যালকনি। নিভে গেলে কাউন্ট ডাউন শুরু...স্নান বা লাঞ্চ ব্রেক। বা চালের আঁচড় ঘষে ঘষে নখ থেকে সোহাগ মুছে নিচ্ছে পায়রাক্লান্ত সন্ধ্যেরা
দু- চার ঘন্টা পার হলে নির্ঘাত বৃষ্টি। নয়তো মেঘ। নতুন গল্পের গন্ধরা আসে, সোঁদা। একেবারে বোবা যখন, দেওয়াল ঘিরে জমে জল.... ফোঁটা ফোঁটা। অসংখ্য ভরাডুবির কল্পকথা লেখা। কোন রকম প্ররোচনা ছাড়া সমুদ্র নামলে, তুমি ডুবুরি। দরজাবিহীন স্নানঘরে সে খেলা ওঠে আর পড়ে। দূরে দূরে হাতছানির মায়ামৃগ সংসার
৩)
এ বিশৃঙ্খলা, এ দুঃখ
আষ্টেপৃষ্ঠে সব যে নিয়ে
আবেগে রেখেছে জড়িয়ে
হায় হে! কোল্যাপ্সড যক্ষ
....পাথর গেঁথে রেখে গেছে নিজেকে, নিরাপদ নৈঋত কোণ। বাকি সব বুদবুদ । জানা। নইলে ব্যালেন্স থাকে না। দেখেছ, জল আর মাছের অভাব কখনো হয় না। তারা প্লাস্টিক ক্যাপসুলে কিলবিল করে আবার গ্রে ম্যাটারেও... যতক্ষণ অন্ততঃ আছে জলের ফানুস। কিছু বলতেই হবে? থাকতেই হবে ডায়াস উচ্চে ও রামধনু আলোতে... শুধু ফেনা হয়ে উঠতেও তো লাগে অসংখ্য জেগে থাকা রাত ও নিপুণ হোমওয়ার্ক
৪)
ঘোর লাগে, ঢেউ মহামারি
এইটুকু আজ, এটাই অতীত
বাকিটা ঘোলাটে ভবিষ্যত
স্বখাতসলিলে নিজেরা মরি
.....তুমুল ডাকছে ঢেউ। অন্ধকার, টোম্যাটো পিউরির লালে দেখছে সজন। যদিও ছদ্মবেশ লেখা আছে সবার ক্রোমোজমে, ছায়া ভালবাসাবাসির কথা রাত ফুরোলে বাসি।
ছুরিতে মন নেই। হাতও নেই কারো। এইসব ওলট পালট যদিও তোমাকেও ডেকে এনে দেয়....ঘুমের ওইপারে কেউ তো বাঁশিতেই মজেছে। বরং একা অন্ধ যেখানে ইন্ডিজেনাস চাওমিন দাবিহীন তুলে দেয় ক্ষিদের মুখে, সেখানেও স্টিল শো'র দায় থাকুক
৫)
গণনার স্তুপ, মৃত্যু নিবিড়
প্রশস্ত জমি, সংকীর্ণ
রাস্তাঘাট ও প্রস্তরখণ্ড...
সব জানে ওরা, তাই অস্থির
....ভয়, ক্ষতির এখন সবথেকে বেশি কাটতি। বেপাত্তা উপদ্রবহীন ঘুম, সময়ের জলখাবার, নিয়মমাফিক রতিক্রিয়া৷
মুখও হারিয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তি বোঝাতে যে যে অভিজ্ঞান সে সকল অনুপস্থিত।
রক্তের ছিটে লাগা রুটি দিব্যি হজম হচ্ছে। চাঁদকে, দূর থেকেই ঈশারা করা যাচ্ছে, নীল গিলে নিতে জ্যোৎস্নার... ছড়িয়ে যাচ্ছে অপরিবর্তিত প্লাস্টিক জরায়ুর কান্না, প্রশান্ত সাগরিকায়
৬)
ও জানলা-সার্সিতে জমা
ভালওবেসেছিলে শরীর
নষ্ট স্বাতী! অনন্ত নীড়
ঘন চাঁদ, জল, আলো, উপমা
.... রেটিনারা একে একে অন্ধ হয়ে এলে নিথর পাথর ভেঙে এনে দাও আহির ভৈরবী...ঘন হয়ে নামে প্রথম আলোর মতো... ঘাসের গায়ে লেপ্টে থেকে শিশির , ভাসানোর স্মৃতি নিয়ে
এত যে পা গুনে গুনে সময় চেলে ছেঁকে নিঙড়ে বের করে আনা শ্রমসাধ্য তোমার কোলাজ! বেশ জানি, একটা কিচেন নাইফ গরম করে দেওয়ালটাকে চিরে দিতে পারলেই ছুঁতে পাবো পুরোপুরি তোমায় ...বুক চিবুক চোখ। নামতে নামতে পায়ের নখও। খিদেয় ফেটে যাওয়া ঠোঁট যখন নেশা চাইবে প্রচন্ড! তখন তুমি ঘুমে। চশমাটা পাশে রেখে
৭)
কেমন ছিলে সেদিনে তুমি
দখল নিয়েছিলে মস্তিষ্ক
অন্ত্রপথ। নিও বিষবৃক্ষ
রথের শরীরগ্রাসী মেদিনী
.....অতিরিক্ত ইচ্ছেরা বেহায়া পোল ডান্সারদের মতো জমি থেকে বেশ খানিকটা ওপরে উঠে স্ট্রিপটীজ করতে থাকে।কসরত সম্পূর্ণ হলে, এয়ার কন্ডিশনড অডিটরিযাম হাত তালি ভর্তি, উচ্ছ্বসিত একচক্ষু ডার্ক কুইনেরাও। প্ল্যাটফর্ম সোনাঝরা, সোনাটায় ডুবে ব্যাকড্রপের বিছানা... অন্ধকার অভ্যাসের রক্ত দাগ ফেলে আসে সাপ্তাহিক লন্ড্রি বিলের সাথে, বাজারের রাস্তায়
৮)
ভোকাট্টা যে হায় চাঁদিয়াল
মন্দির বনে ঝিনচ্যাক ঘ্যাম
অহো! ড্রিমি ড্রিমি দ্রাম
ধম্মোষাঁড় চেনে অন্তর্জাল
... একটা মুখ অন্য এক মুখে বদলে যাচ্ছে মূহুর্তে । ফেস অফ। ফেস অন। গুঁড়ো চিনি বয়ে নিয়ে পিঁপড়েরা ঘরমুখো। সন্দেহ দাঁড়িয়ে ঘাড়ে নিঃশ্বাস রাখে । কোথাও যাবার নেই। আর ক'দিন আগেও জঙ্গল খুবলে নিতে চাইছিল শহর অন্ত গ্রাম৷ ফোরপ্লে ছলে। থেকে যাবে তার লাইভ টেলিকাস্ট।
মাইম শায়ের মিউজিক সেন্স টরচার করলে, হাতে থাকবে ব্লু হেভেন বাহানা বা ক্রীম মালানা, ওআইজ।
আমরা অপেক্ষা করছি। কবে হিরোদের হিরোগিরি হারিয়ে দেবে রিংকলস। মেচেতা দাগ। যে বা যারা স্মার্ট হতে হতে গিনিপিগ। তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে রেখে যাব, আমাদের সকল বোকামি'
পুনশ্চ ঃ আপাতত বন্ধ্যা সময় .... বা, বিভ্রম। এবং,
সমান্তরাল আয়নার অসংখ্য বিভ্রমের কানাগলিতে ঠেকে রক্তে কফে মাখামাখি হয়ে, নতুন খেলা শিখে নিয়েছি ভেবে সন্তুষ্টির চাঁদে নির্ভয়ের চোখ রাখি.....
"সর্বেষাং পূর্ণম ভবতু"
অসম্ভব সুন্দর! শ্রদ্ধা জানাই আপনাকে...
ReplyDelete