রাধে ঘোষ
বিদ্যালয়ে..
বিদ্যালয়ের কাজ সমাধা হওয়ার পর একজন ভন্ড কেরানি
থেকে যায় বিদ্যালয় বিল্ডিংয়ে, ঘুমিয়ে থাকে সাতজনের
ঘুমগড়ে, বাচ্চাদের বিবিধ খেলউপ,করনে-ইন্তেজামে গজানো ঘাস,
ছেঁড়া প্যারাসুটে ধরেছে কল্পনা
স্কুল বাড়ির এই সামুদ্রিক ঔদার্যের মধ্যে পেঁপে আর পেয়ারার
পল্লবন.. তরঙ্গ.. কৃষ্ণপাতার ঝিরঝির চূড়
ছেলেদের কলকল স্তিমিত দোলনার দোলন হয় পূর্ণ মা-য়ে
বালিঘর ধ্বসবার আনন্দে থাকে চূড়া, এই ঝিরঝির
জলভাঙা সুরত তোমাকে চূড়ামণি করে কেরানিও
করনের এই লীলা লিখে যাব রাধেজন্মে
ধ্বনির বিশেষে নেমে..
বারান্দায় আরামকেদারাটা একা পড়ে আছে। খালি।দালানঘরের বারান্দায় মাঝরাতের জ্যোৎস্না। এক দশক ওই খেই হারানো গল্পের সঙ্গে থেকে ভোর ও রাতে শুতে যাবার আগে কেবল এক ঘন্টা দাও ধ্বনির সঙ্গে, তুমি অন্য মানুষজনের যারা অন্দরে কন্দরে পাহাড় তৈরি করেছিল, যারা জলে ও বিপুল শালে প্রতিরোজ দু'দণ্ড স্মৃতিমকি ক্যামেরা পিক্সেলে গুরু নগ্নতায় উদারগুরু ক্যামেরা বহন ক'রে নিখিল কারখানায় কাজ করে, সেইসব মানুষজনের সঙ্গে ঘুরে বেড়াবে কেউ টের-টি পাবে না যখন সকলে ঘুমিয়ে ধীন্দ্রিয়ে সর-পড়া সাম্রাজ্য, তুমি তখন পাখিদের সঙ্গে বারবেল বদল দেখছো আর ওই গল্পটার সরু তারে কেমন সার্কাসকুমারী হেঁটে যাচ্ছ পিছু ফিরে…
আজ শ্রাবণে..
আজ শ্রাবণে ২১ শে শ্রাবণ বড়ো জানতে ইচ্ছে করে
গুরুদেব কি এসবের খবর পেতেন,এভাবে পঁক বা
মেথি থেকে বিচ্ছিন্ন বাচ্চা কিভাবে সেই গুরু ধ্বনি
হারিয়ে অথবা মূলমদ কিভাবে মূলের বাইরে নিয়ে
গিয়ে বে-দম পেটাই করে ধাতু ও গনকে জনে, ব্যক্তির পদতলে মাটি সরে যাওয়ার হাঁসফাঁস, স্নায়ুতে
ছিন্ন ভিন্ন ভিন্ন নর্দম
এই জাহাজচরিত্র আজো কিভাবে নোঙর করে আছে
দেশ বিদেশের জাহাজঘাটায় জাহাজীর আঁকুপাঁকু
বাচ্চাদের ভিতর,একদল ছিঁচকে কবি ও চোর গির্জের
ঘন্টায় টের পেয়ে গ্যাছে প্রতিভা আজও বসে আছে কাঠের চেয়ারে
শুধু সেই সেদিনের ঝরোঝরো বরিষণ কূপ খননকারী শ্রমিকের
ধ্বনি নেই, রবি অবসিত যে স্নায়ুন্ধকার, যে আকাশগঙ্গা
নিট সিল্যুয়েট "ওহে নাথ..." বলে গাইছে না যে আকুপাকু
আসহায়রা, তাদের গ্রাসে জৈব আচ্ছাদন জৈব জৈব জৈব
ধ্বনিতে গুন
সারাদিন টুং টাং হাতকর্ম্মসকল মন্ডলে
ধ্বনি দ্যায় - ধ্বনিতে মুক্ত বিশ্ব দ্যাখো
বিষাদ ফলিয়ে রেখেছে মাঠময়,সম্বৎসর
দমকল চালিয়ে জল ও যত্নের তরঙ্গে
কণা,দানাটি পেয়ে আবার কিচিরসমগ্রে
পাখিরাজ্যে আমরা তিন শালিখ এসে পড়েছি
অনুবাদ..এই অনু বাদনে অনিবার জল এসে
ছলাৎ দিচ্ছে, প্রত্যেকের নিজ কৌশিক সুর
তোলে মাঝিমল্লার,পালায় দূরে ফারাওয়ে
জল বয়ে যায় প্রাচীন,বাদনের পরাগ জমা
জননে ভারী
মজলিশ ভাঙা শালিখেরা নদী ও শতকুর্মি
পাহাড়ের স্থাপত্যে স্থা -এর ভেতর ধাতুতে চলে যায়
গর্ভে গম্ভীরায় দীর্ঘ সময় ধাতে আসে ধাতু হয়
মজলিশ ভেঙে প্রত্যেক কৌশিক নাদে এসে
গুরু ধরে, পেঁপের পেলবে বিশেষ ধরে থাকে
দীর্ঘ দীর্ঘ সময় নিরবিশেষ পেঁপের কিম্বা
পেলবের পতি হয়ে থাকি
Post a Comment