পীযূষকান্তি বিশ্বাস
রাস্তা আখের
রাও তুলারাম মার্গ ।
রাস্তা আমাকে ঘর দিয়েছে
দিয়েছে ঘরে ফেরার পরিযান
যার মোরামে পা রেখে ঐ বেঁকে যায় রাও তুলারাম মার্গ
তার চৌরাহার কাছে নাপাতুলা দূরত্ব রেখে আসি
সংখ্যার মুখড়ার উপর লেপ্টে থাকা ডেসিম্যাল
তার গতিবেগের কাছে সমর্পণ করে দিই যাত্রাপথ
আমার সামান্য গন্তব্য নিয়ে রোমান হরফে লিখে রাখা
আমি তার মাইলস্টোন পড়ি...
পড়তে হয়,
পাছে ধেয়ে করে আসা অগুন্তির ভিড়ে
বিস্মৃত হয়ে যায় মাইলবন্দনা
ট্রাফিকের কাঠামো ভেঙে তাকে ছুটে যেতে হয়
ধেয়ে আসা রাস্তাকে চেয়ে দেখেন রাস্তাবাসী
হেঁটে আসা মানুষের মতো
তার অবিকল রিপ্লিকা - এফ্রিকান এভিনিউ, নেলসন ম্যান্ডেলা
ঈষৎ ভ্রূ-কুঞ্চিত অথচ নির্বাক কপি পেস্ট
ধু ধু রাস্তাই জানে কত যে তার হেঁটে যাওয়া বাকি
আর হু হু আর্তনাদ জানে সেই সব নীরক্ত কদমবদল
প্রতিঘাত নিয়ে ডুবে যাওয়া সুর্যাস্ত দেখে
প্রতিরাত তৃষিত হৃদয়ে ভেঙে ফেলা
নিজস্ব ঘরচেতনা
তার ঘর কোথায় ?
পাখিটিকে যেহেতু কথা দেওয়া ছিলো,
ভিটেবাড়ির কাছে দেওয়া ছিলো ফিরে আসার অঙ্গীকার
দীর্ঘ যাত্রার কাছে আত্মপক্ষ রেখে
ঘরে ফিরতে চেয়েছিলো মহামহ রাও তুলারাম মার্গ ।
শাহজাহান রোড ।
লালবেলে আমাকে সুউচ্চ মিনার দিয়েছে,
লালবেলে দিয়েছে কুতুবউদ্দিন আইবক
এই মাটি দিয়ে চলে গেছে পৃথ্বীরাজেরর রথের চাকা
অ্যাসফল্ট বেসড আরাবল্লি ফুড়ে উঠে এই রাজপিথোরায়
এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় পরিযায়ী পথচারী
একথা তুমিও জানতে হে সঙ্গমর্মর,
তুমি যাকে দিয়েছো ইবাদতের পরিসর
আর যাকে দিয়েছো মনুমেন্টের দখলদারি
পাথরের দাম জানো ?
ওই শোনা যায় কিনারী বাজারের বিকিকিনির হল্লা
তুমি শুনতে পাচ্ছো ভ্রমরের গুঞ্জন
ওই মীনাবাজারের উপর দিয়ে সবুজ টিয়া উড়ে যায় ,
ঔ বুঝি আমাদের অঞ্জনা গাঁ
আর যখন রাইসিনা-হিলের সমস্ত রাস্তাই ব্লক
লংকা যাবার সকল রাস্তাই যেন আজ রাবণ হয়ে ওঠার
এমন কথা শুনে বকুল হাসে আর আমি ভাবি
এমন আচ্ছে এপ্রিলের দিনে শাহজাহান রোডে
এই ঈষৎকৃষ্ণ আসফল্টের টুকড়াগুলি কারা ফেলে গেছে
এই ফিউশনিক্ ভাষাটাই মস্তো বড়ো আইকনিক্ প্রকৃত।দুরন্ত দাদা
ReplyDelete