DEHLIJ

দেবযানী বসু

 জবানবন্দি চলছে



পোষা কুকুরের সঙ্গে সমানতালে হাঁপাচ্ছি। অনেক হল কুকুর পোষার ফর্সা দিক। একপাল অন্যমনস্কতা আমার ছাত্রমনস্কতা তৈরি করে দেয়। নদীর মুখস্থ করা ঢেউয়ের আবৃত্তি চোখ পচিয়ে তুলছে। ফাইলের হিমবাহ স্বভাব। গলছে আর সাদা ক্রিম পাচ্ছি। ফাইলের স্রোতে ভাসছে শহর। ব্রক্ষ্মলিঙ্গের উৎপাদক লসাগু গসাগু কষা শহরের দেয়ালে দেয়ালে। রাস্তায় থুথু ফেলা কোনো কালেই সমস্যা ছিল না এমন সুদিনের দিন ফুরোবে কি করে। টাওয়ারের চিলের একটাই সমস্যা সময়ে পিরামিডের দুধ মিলবে কিনা। জানলা হারিয়ে এক ফোঁটা ঘুলঘুলি সম্বল। বিদ্যুতকেন্দ্রের উপর উড়ে বেড়ানো  শকুনের চোখে স্পাইক্যাম বিক্রির ব্যবসা আমার ছিল।এখন যে কি হবে।



জুমবার্স্ট হয়ে গেল

একমাত্র কাকেরাই সত্যি কথা বলে -- এই জেনে তাদের উবাচগুলি গোলাপ কাঁটায় বিঁধে প্রতিটি আত্মহত্যার নোটলিপি বাঁচিয়ে রাখি। কাকেরা বিচ্ছিন্নতাবোধে জেগে ওঠে। দ্যাখো এবং... হালের গরু হয়ে বেঁচে আছে কৃষ্ণচূড়া বাংলাগান থেকে ছুটি পেয়ে। সকল ঝুমঝুমির মাঝে তুমি বেজে ওঠো হৃদমাঝারের দাবিতে। কারো কারো ঝুমঝুমি মিথ্যে চেঁচায়। এসবের উপর চূড়ামনির দই বসে যায় কাকচোখের বিহ্বলতায়। নাক্ষত্রিক ধুলোপড়া ছিটিয়ে ছিটিয়ে পারস্পরিক দূরত্ব এঁকে নিই। তোমারই নোটবইই ধড়ফড় করে ঘুমের শাখাপ্রশাখায়।মৃত মাছের চোখ আজ তোমার দুটি বৃন্ত। আর দেখা হবে না অমরগঙ্গার ঢেউ বলে যায়। শ্রেণিকক্ষের ব্ল্যাকবোর্ড সকল দাঁত মেলা কি-বোর্ডের টিভি হয়ে আছে। আমিও গুরুপ্রণাম কমন্ডুলুতে ডারি।



বিন্দু পর্যন্ত হতে পার নি

এভাবে গমনাগমন সুপারলেটিভ ঝাঁটার। এক মালকোষ পথ পেরিয়ে মণিমুক্তা এনেছে সে। বন্ধ গ্ৰন্থাগারের গন্ধ কুম্ভক করে রাখি। বই হারাতে হারাতে মা ঘোড়াটি হাঁপিয়ে পড়ছে। মানুষ মানুষ খেলায় কেমন পচাশষ্যের কুবাস। মা-মাকড়সারা বাচ্চার পুঁটুলি মাথায় সাজিয়ে অশোকা সেলুন ছেড়ে বেরোচ্ছে। ওরা নেকড়ে সঙ্গমে অভ্যস্ত। এখানে কান্না মালিশ করে করে অসুখ সারানো প্রথা। টেনেটেনে টুনেটুনে স্রোতপাঠ চলছে শুনি। শুনতেই হয়। আমার উপমা আমার গন্ধ শুঁকে অজ্ঞান। মাঠে মাঠে হরগৌরী ছবির বেশ চাহিদা। ঘরপোড়া গরু ছবি জমিয়ে রাখি। যেখানে আছি সেখানে বাংলা সাহিত্য আপেক্ষিক। অপেক্ষাও আপেক্ষিক। মাথা ও লেজের মৈথুন কতো কোটি আলোকবর্ষ নৈকট্যে এনে ফেলেছে আমাকে কেউ বোঝাও।


1 comment:

FACEBOOK COMMENT