DEHLIJ

তন্ময় ধর

 দিল-এ-নাদান তুঝে হুয়া ক্যয়া হ্যায়




১।
কৃত্তিকা, মানুষ কি এর চেয়ে বেশী পথ হতে পারে না? এর চেয়ে বেশী স্ফুলিঙ্গ? দৃশ্যের
উত্তাপ থেকে পালিয়ে যাওয়া একটি দেহের ছায়ার সামনে নড়ছে তীব্র নেশার বুদবুদ।
ভাঙা কাঁচে ঈশ্বরের বহিঃক্ষরা গ্রন্থির সামনে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। আমাদের
দ্রুতগতির অভিনয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে আরেকটা ফ্লাইওভারে।কৃত্তিকা, মানুষ কি এর
চেয়ে বেশী মৃতদেহ হতে পারে না?


২।
দৃশ্যহীন পাগলেরা ভীড় করে পদচিহ্নে। খন্ড খন্ড করে ফেলে আমাদের ফার্স্টফুড,
বাজি ও বীজগণিত। কমতে কমতে একটিই প্রতিবিম্ব। তার ধূসর আঙুলের নীচে
অবিক্রীত শ্রোডিংগার ও রিলকে। কৃত্তিকা, মানুষ কি এর চেয়ে বেশী শাদা কাগজ হতে
পারে না? গ্লাসে দৃশ্য ফিরছে কিম্বা ফিরছে না।পুতুলনাচের ভিতর থেকে গায়েব হচ্ছে
অপরাধী ঈশ্বরচিহ্ন।


৩।
দরিদ্রতম মাতৃজঠর থেকে গহন ন্যসিয়ার ভ্রম ঠেলে দিচ্ছে যমুনাকিনার। প্রভা
আত্রে, কিশোরী আমনকর নিশ্চয় গাইবেন। কৃত্তিকা, মানুষ কি এর বেশী স্মৃতিহীন সুর
হতে পারে না? যান্ত্রিকভাবে এলোমেলো মানুষের ক্রমাগত রিংটোনের মধ্য দিয়ে
আমরা হাঁটতে থাকি বৃত্তের মধ্যে। ল্যাটেরাইটের আড়াল থেকে হঠাৎ উড়ে যায় তীব্র
শূকপাখির দল।


৪।
মুখোশের নীচে ঠান্ডা হতে থাকে মুখ। দেহের গভীরে ভারী হতে থাকে বাণিজ্যিক
বিজ্ঞাপন। হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপছে সদ্যমৃত পশুর চামড়া। কৃত্তিকা, মানুষ কি এর
চেয়ে বেশী গতিসম্পন্ন হতে পারে না? নির্লজ্জ মাংসে বারবার ঈশ্বর আসছেন। অচেনা
ওষুধ, দালাল, দ্রাক্ষারস ও নক্ষত্রমন্ডলী ঘুরপাক খাচ্ছে। বহুধান্যক যন্ত্রণা
কামড়ে ধরছে আমাদের উদাসী হাওয়ার পথ।


৫।

কৃত্তিকা, মানুষ কি এর চেয়ে বেশী জন্মান্ধ হতে পারে না? চামচের শব্দ হয় সাজানো
প্রেমের প্লেটে। নষ্ট হয় অতিরিক্ত খাবার, শো অফ ও পরিযায়ী গর্ভযন্ত্রণা।
ক্যামেরার সামনে আস্তে আস্তে ঝাপসা হয়ে যায় দৃশ্য, শর্ত ও অস্তিত্বহীন
অধিকারবোধ। কৃত্তিকা, মানুষের নীরবতা কি এর চেয়ে বেশী জনবহুল হতে পারে না?

No comments

FACEBOOK COMMENT