DEHLIJ

শাশ্বতী গাঙ্গুলী

কাছেই তো আছি




অযুত নিযুত বৎসর পর আবার হঠাৎ
সাতকান্ড রামায়ণ পড়া শেষে
পুরান খুঁজতে গিয়ে চোখ রাখি চোখে।
বিহ্বল ঊর্মিলা পেল এলোশোক।রবি ঠাকুরের বিচার সঠিক,কাব্যে উপেক্ষিতাদের নিয়ে নেই কোনো   ভীড়।প্রাচীন গন্ধমাখা গায়ে পত্রলেখা,প্রিয়ংবদা বাঁধেনি তো নীড়।
এমনই আর এক অনসূয়া খুঁজেছিল ঘর।
তুমি চেয়ে দেখেছিলে তাই অতঃপর।
মনে হল সমর্পিত  বিশ্বচরাচর।কানে এল বারিপাতের
শব্দ প্রবল,অমানিশার অন্ধকারে চাঁদ আর জল।
ফুলের সৌরভে জেনো মিশে থাকা ভোর,ছিঁড়ে নেওয়া যায়না তো, রয়ে যায় খোঁজ।নিভন্ত  চিতার পাশে কত বৈধ শোক। ঢেকে দাও,রেখে দাও রোজ, জানি রোজ।
হাওয়াতে ছড়াতে চাই আমার অলক।অবিন্যস্ত কেশভার, মন বলে কার? আমি মনে ছবি আঁকি  ঊর্মিমালার। চুপ করে থাক,অপলক ভার।
ধোঁয়া থেকে  জ্বালা করে চোখ।
তুমি এলে পদ্মপাতা স্থির।
আমি ছুঁই একফোঁটা গোপন শিশির।

 

এইসময়


তারার বৃষ্টি ঝরে রাতে,আমি অন্ধকারে তবু জ্যোৎস্না এসে ডেকে যায়, আমি দৃষ্টিহীন। শুধু দূরাগত কুয়াশায় হাঁটব বলে ব্যক্তিগত একান্তকে ছেড়ে পথে নামি।ঘ্রাণে আসে ধূপের শাশ্বত সৌরভ।একটু একটু করে পোড়ে মন,আমি গুনি পদশব্দ তার কাছে না আসার।তত্ত্ব বোঝে না সে যে,নির্ভার মায়ায় খোঁজে,কেবলই সে খোঁজে।আবার হারায় পথ,  আরও কিছু সময়ের পর তুমিও কি এভাবেই কোনো রাতে,প্রতিরাতে একা হও মনের ভিতর?

No comments

FACEBOOK COMMENT